আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতজুড়ে থামছে না আর্তনাদ। করোনায় মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হওয়া দেশটির হাসপাতালগুলোতে মিলছে না চিকিৎসা সেবা।
বাসাবাড়ি ও গাড়িতে স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে চিকিৎসা নিতে গিয়েও রাজ্যে রাজ্যে হাহাকার চরমে। মিলছে না একটু অক্সিজেনও। দেশটিতে একদিনে ফের সোয়া তিন লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ২ হাজার ৮১২ জন।
এ অবস্থায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনালাপে কোভিড লড়াইয়ে পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সারাবিশ্ব থেকে যখন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে চীন।
ভারতে ভয়াবহ অক্সিজেন সংকট। আক্রান্ত রোগীর জন্য সান্ত্বনা এটুকুই যে, মুখে পরানো হয়েছে অক্সিজেন মাস্ক। হৃদয় ভাঙা আর্তনাদে ভারী চারপাশ। প্রিয় স্বজনকে একটু বাঁচানোর আকুতিও যেন শোনার কেউ নেই।
চারদিকে হিমশিম দশা। হাসপাতালে আর তিল ধারণের ঠাঁই নেই। তাই করোনা আক্রান্ত রোগী নিয়ে ছোটাছুটি থামছেই না। অনেকে আবার বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন, কেউ বা গাড়িতে বসেই। কিন্তু তাতেও সরঞ্জাম সংকটে ভুগছেন প্রায় সবাই।
অবস্থা শুধু দিল্লি নয়, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, বিহারসহ আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যের পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হচ্ছে।
করোনার মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত যৌথভাবে লড়াই করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে সোমবার রাতে ফোনে আলোচনায় এ বার্তাই প্রকাশ্যে এসেছে। পরে মার্কিন বিভিন্ন দফতর থেকেও তা নিশ্চিত করা হয়েছে। আরও বেশি করে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশ। তবে এমন সময়ে উল্টোপথে হাঁটছে যে দেশ থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে সেই চীন। সোমবার চীনের সরকারি বিমান সংস্থা সিচুয়ান এয়ারলাইন্স ভারতের সঙ্গে আগামী ১৫ দিন চিকিৎসা সরঞ্জামসহ সব ধরনের কার্গো ফ্লাইট বাতিল করেছে। এতে এমন বিপর্যস্ত সময়ে ভারত আরও বিপদে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আর ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট থেকে বাঁচতে দেশ ছেড়েছেন ভারতীয় অনেক ধনী ব্যক্তি। বিশেষ ফ্লাইটে বা ব্যক্তিগত বিমানে অন্য দেশে চলে যাচ্ছেন তারা।